রংপুরের বুড়িরহাট এলাকা থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য এখানে এসেছেন সুমী বেগম (৩০)। তিনি ঢাকার একেএস গ্রুপ পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চাকরির কারণে তাঁকে ঢাকা যেতেই হবে। প্রতিদিনই যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরিবহণের নানা সমস্যার কারণে যেতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের অনেকে ঢাকা গেছেন। তাহলে আমরা কেন যেতে পারব না? আজকে ভোর থেকে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছি। যানবাহন যেটা পেয়েছি সেটাতেই চড়েছি।’
শহরের মডার্ন মোড় এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত মানুষ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রচণ্ড রোদের কারণে কেউ গাছের নিচে, কেউ দোকানের শেডে বসে আছেন। তাঁদের অধিকাংশই পোশাকশ্রমিক। ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় চাকরি করেন। সকাল থেকে ইতিমধ্যে কিছু মানুষ চলেও গেছেন। বেলা ১১টার পর মানুষ যখন বাড়তে থাকে, তখন পুলিশ যান চলাচলে বাধা দেয়। এমন অবস্থায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের একটাই দাবি, চাকরির কারণে তাঁদের ঢাকায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
রংপুর শহরের সর্দারপাড়া এলাকার ইয়াছিন আলী (৩৫)। তিনি ঢাকার একেএস গ্রুপের পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘মালিকপক্ষ ঢাকায় যেতে বলেছে বলেই ছুটে যাচ্ছি। রাস্তাত তো অনেক গাড়ি চলে। কষ্ট করে হলেও মাননুষজন যাচ্ছেন। তাই দুই সন্তান ও স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কষ্ট হলেও যাওয়ার চেষ্টা করছি।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ বলেন, কঠোর বিধনিষেধের কারণে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বাধা দেওয়া হয়েছে। তাই কিছু করার নেই।