আশুলিয়া প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে জিম (১৬) নামের এক পরিবহন শ্রমিকের হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় তার ভাইকেও হত্যাচেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা আহত কিশোরকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম। এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আশুলিয়ার গাজীরচট চারালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত জিম ইসলাম আশুলিয়ার বসুন্ধরা এলাকায় ভাড়া থেকে বড় ভাই মনিরের সাথে আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহনের হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো- টিপু, টেক্কা মনির, রাব্বি, সুজন ও বাবু।
আহত জিম জানায়, আমি যে বাসে হেলপারি করি ওই বাসের চালক লিটনের সাথে ওদের ঝামেলা ছিল। আমরা রাতে গাড়ি গ্যারেজে রেখে পাঁয়ে হেটে গাজীরচটে বাসায় যাচ্ছিলাম।
এ সময় আনিস, টেক্কা মিনির, টিপু, সুজনসহ কয়েকজন আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় লিটন ভাই দৌঁড়ে পালিয়ে গেলে আমাকে ধরে ফেলে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এসময় আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
বাসের চালক লিটন জানান, এলাকায় মাদক বিক্রিতে টিপু, টেক্কা মনির, রাব্বিকে কয়েকদিন আগে বাধা দিয়েছিলেন তারা। সেই ক্ষোভের জের ধরে গতকাল সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় তার হেলপার মনির ও তার ভাই জীমকে রাম দাঁ, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে সন্ত্রাসীরা।
এসময় বড় ভাই মনির পালিয়ে যেতে পারলেও মাদক ব্যবসায়ীরা তার ভাই জিমকে ধরে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে স্থানীয়রা আহত জিমকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দয়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।